Home লাইফস্টাইল তুলসী: তুলসী পাতা খাওয়ার গুনাগুন,তুলসী পাতার ঔষধি গুন, তুলসী পাতা কি

তুলসী: তুলসী পাতা খাওয়ার গুনাগুন,তুলসী পাতার ঔষধি গুন, তুলসী পাতা কি

0
তুলসী: তুলসী পাতা খাওয়ার গুনাগুন,তুলসী পাতার ঔষধি গুন, তুলসী পাতা কি
তুলসী: তুলসী পাতা খাওয়ার গুনাগুন,তুলসী পাতার ঔষধি গুন, তুলসী পাতা কি

তুলসী: তুলসী পাতা খাওয়ার গুনাগুন,তুলসী পাতার ঔষধি গুন
তুলসী পাতা কি , জানে না এমন কোন লোক নেই। এই বহু গুনসমবৃদ্ব প্রাকৃতিক ঔষদী গাছটি আমাদের, আপনাদের বাড়ির আসে পাসে এমনিতেই হয়ে থাকে। তা ছাড়া তুলসী ব্যানির্জীক ভাবে চাষ ও করা হয়। এই তুলসি পাতার গুণ সম্পর্কে বলে সেষ করা যাবে না। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এই তুলসী পাতা ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারে।

বেশিরভাগ দেশে তুলসিকে একটি চমৎকার স্ট্রেস রিলিভার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের সর্দি-কাশির জন্য তুলসী পাতা দারুণ ওষুধ।

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে তুলসি পাতা

সর্দি -কাঁসি দুর করে তুলসী পাতায়

শিশুর সর্দি-কাশি হলে আধা চা চামচ মধুর সঙ্গে তুলসি পাতার রস মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়। বুকে কফ বসলে সকালে এক গ্লাস পানিতে তুলসি পাতা, আদা ও চা পাতার সঙ্গে মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করুন, আরাম পাবেন। এ ছাড়া মাথাব্যথা কমাতে তুলসি চা খুবই কার্যকরী। তুলসি পাতা সিদ্ধ করে গার্গল করলে গলা ব্যথা উপশম হয়।

বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে।

যে হাঁপানি, ফুসফুসের সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগের বিরুদ্ধে তুলসি পাতার চমৎকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া জ্বরের সময়ও তুলসী পাতা খুবই উপকারী। বর্ষাকালে তুলসি পাতা ও এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে পানি পান করলে বিভিন্ন রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের পর বা ক্ষতস্থানে তুলসি পাতা লাগালে তা খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়।

তুলসি পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা এবং কোলেস্টেরল উভয়ই কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে আপনি খুব সহজেই ওজন বৃদ্ধি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ক্যান্সার প্রতিরোধে তুলসি পাতা খুবই উপকারী। তুলসী পাতায় রেডিওপ্রোটেক্টিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা টিউমার কোষকে মেরে ফেলে।

তুলসি পাতায় থাকা ফাইটোকেমিক্যাল যেমন রোসমারিনিক অ্যাসিড, মাইরেটিনাল, লুটেইন এবং এপিজেনিন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। অগ্ন্যাশয়ে উপস্থিত টিউমার কোষগুলিকে অপসারণ করতেও তুলসি উপকারী। স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধেও তুলসি পাতা খুবই কার্যকরী।

আরও পড়ুন জলপাই: খেলে কি উপকার হয়,,জলপাইয়ের উপকারীতা, olive oil এর উপকারিতা,olive oil এর ব্যবহার

ত্বকের যত্নেও তুলসী পাতা ব্যবহার করা যায়।

ত্বকের যত্নে তুলসী পাতা

তুলসী পাতায় উপস্থিত ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এবং প্রয়োজনীয় তেল চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। কেউ কেউ তুলসি পাতাকে যৌবন ধরে রাখার টনিক হিসেবেও বিবেচনা করেন। ত্বক সুন্দর ও মসৃণ করতে তুলসি পাতা বেটে সারা মুখে লাগান। এ ছাড়া ত্বকের কোনো অংশ পুড়ে গেলে তুলসির রস ও নারকেল তেল লাগালে জ্বালাপোড়া কমে যাবে এবং কোনো দাগ থাকবে না।

আরও পড়ুন

বাড়তি ওজন কমানোর উপায়: বানিয়ে ফেলতে পারেন ৩টি হোমমেড ড্রিংকস!

নভেম্বর 23, 2022

0

43

তুলসী পাতা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে ।

তুলসীতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য চোখের চুলকানি, কনজাংটিভাইটিস, চুলকানির সমস্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পুষ্টিগুণে ভরপুর, তুলসী পাতা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে এবং চোখের রোগ যেমন ছানি এবং গ্লুকোমা প্রতিরোধ করে। তুলসি পাতা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

ক্যান্সার প্রতিরোধে তুলসি পাতা খুবই উপকারী

তুলসি পাতায় রয়েছে রেডিওপ্রোটেক্টিভ বৈশিষ্ট্য, যা টিউমার কোষকে মেরে ফেলে। তুলসী পাতায় থাকা ফাইটোকেমিক্যাল যেমন রোজমারিনিক অ্যাসিড, মাইরেটিনাল, লুটেইন এবং অ্যাপিজেনিন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। অগ্ন্যাশয়ে উপস্থিত টিউমার কোষগুলিকে অপসারণ করতেও তুলসি উপকারী। স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধেও তুলসি পাতা খুবই কার্যকরী।
পেটের ব্যথা অনুভব হলে তুলসি পাতা ব্যবহার করুন

পেটের ব্যথায় তুলসী পাতা

তুলসি পাতা পেটের সমস্যার জন্য দারুন ওষুধ তুলসি পাতা পেটের সমস্যার জন্য দুর্দান্ত ওষুধ। পেটের ব্যথা, বুকজ্বালা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি উপশমে তুলসী পাতা খুবই কার্যকরী। পেটের আলসারের বিরুদ্ধেও তুলসি পাতা ভালো কাজ করে। 20 মিলি জলে তুলসী পাতা সিদ্ধ করে 10 মিলি করে কমিয়ে পেটে ব্যথা হলে পান করুন। এটি খুব সহজেই পেটের ব্যথা এবং হাইপার অ্যাসিডিটি কমায়।
যেকোনো লোক প্রতি সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে 5/10 টা তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করলে অনেক ব্যাধির হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

কিডনিতে পাথর হলে তুলসী পাতা

কিডনির সমস্যা সমাধান তুলসী পাতা

যারা কিডনি সমস্যা ভুগছেন তারা প্রতিদিন তুলসি পাতা খেয়ে পাথর গলাতে পারেন। তবে যারা কিডনি সমস্যা ভুগছেন অনেক দিন ধরে তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। কেবল তাঁরাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন, যাদের মাএ কিডনি সমস্যা বা পাথর ধরা পড়েছে।
কেননা অল্প অবস্থায় তুলসি পাতা দিয়ে পাথর গলানো সম্ভব। যদি পাথর বড় হয়ে যায়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ নিতে হবে।

যাদের কেবল মাত্র কিডনিতে পাথর হয়েছে বা একবার হয়েছে এখন আবার নতুন করে অনুভব হচ্ছে তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে 7/8 তুলসি পাতা চিবিয়ে বা পিষে খাবেন ,খাওয়ার পর এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করুন। এইভাবে 3/4 সপ্তাহ প্রতিদিন খেলে পাথর গলে যাবে ও কিডনির অন্যান্য সমস্যা থেকে আরোগ্য লাভ করবেন।
পাকস্থলীর প্রদাহ সারে তুলসি পাতায়।

পাকস্থলীর প্রদাহ, যেমন আলছার, যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা এই পদ্ধতিতে তুলসী পাতা খেয়ে সুস্থ হতে পারেন। প্রতিদিন সকালে 10/15 তুলসি পাতা নিন, পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন, ভালো করে পিসে নিন, তারপর অল্প পানি ডেলে দিন ও জুস তৌরি করুন। হালকা তাপে জুস হালকা গরম করুন ও পান করুন। এইভাবে 21দিন পান করলে আলসার ভালো হবে। প্রতিদিন খেতে হবে।

লিভার ভালো রাখে তুলসি পাতা।

যাদের লিভার ভালো নেই। ক্যান্সার বা নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন সকালে তুলসি পাতা খেয়ে সুস্থ হতে পারেন। এমনকি যাদের লিভারের কোন সমস্যা নেই তারা ও প্রতিদিন তুলসি পাতা খেলে কোন দিন লিভারে সমস্যা হবে না।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে 8/10 তুলসি পাতা চিবিয়ে বা পিষে খাবেন,

হৃদরোগীদের জন্য তুলসি পাতা

হৃদরোগীদের জন্য তুলসি পাতা খুবই উপকারী। কারণ হৃদরোগের কারণে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরল হয়। তুলসি পাতা রক্ত ​​জমাট বাঁধার সমস্যা দূর করে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে। হার্টের অন্যান্য সমস্যাও সহজেই প্রতিরোধ করতে পারে তুলসি পাতা।

Exit mobile version